কৃষি ক্ষেএে বিন্দু সেচ পদ্ধতির গূরত্ব

একটা সময়ে বাংলার কৃষি ছিল বর্ষা নির্ভর এবং বৃষ্টিপাতের অভাব ছিল না বলে কৃষিও ছিল প্রধানত বর্ষাকেন্দ্রিক। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে খরা মৌসুমেও কৃষি উৎপাদনের চাহিদা বাড়তে থাকে। বাড়ছে পানির সংকট আর আগামীর পানি সংকটের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে কৃষিতে ধীরে ধীরে ড্রিপ ইরিগেশন বা বিন্দু সেচ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। গবেষকদের মতে আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র পানি সংকটে পড়বে।

দেশের ব্যবহারযোগ্য পানির ৭০-৮০% ব্যবহার করা হয় কৃষি কাজে। কিন্তু এই ব্যবহারিত পানির পুরাটাই অপচয় ও নষ্ট হয়। কাজেই পানির ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রভাব কৃষিকাজে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে কৃষি কাজের প্রয়োজনে পানি সাশ্রয় করার বিষয়ে নিয়ে কৃষি গবেষকরা খুবই চিন্তিত। কৃষিকাজে কিভাবে পানি কম ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে নানারকম পদ্ধতি অবলম্বন করা শুরু করছিলেন। তাদের সকল পরীক্ষা- নিরীক্ষার মাধ্যমে উঠে এসেছে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম বা বিন্দু সেচ এক মাএ পদ্ধতি যেটা বর্তমান সময়ের থেকে ৭০% পানির অপচয় কমিয়ে কৃষি চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।

এই বর্ষা মৌসুমে একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ভালো ফসল পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচের প্রয়োজন ড্রিপ ইরিগেশন বা বিন্দু সেচ পদ্ধতির মাধ্যমে সেটা সম্ভব সাথে সাথে উপযুক্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশী পানি জমে গেলে গাছের গোড়া পচে যাবে এবং গাছ গুলো মারা যাবে। তাই এই বর্ষা মৌসুমে অবশ্যই জমিতে বা বাগানে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য নালা বা ড্রেন রাখতে হবে।

ড্রিপ ইরিগেশন বা বিন্দু সেচ কি?
কিছু কানেক্টর,পাইপের মাধ্যমে সঠিক ভাবে নির্দিষ্ট পরিমানে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পানি গাছের গোড়ায় সরাসরি পৌঁছে দেওয়াকে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি বা বিন্দু সেচ বলে।

বিন্দু সেচের সুবিধা কি ?
১. এই পদ্ধতিতে ৭০% পানি সাশ্রয় করা সম্ভব।
২. সমতল বা পাহাড়ি জায়গায় প্রতিটি গাছে একই সাথে পানি দেওয়া সম্ভব।
৩. সারের খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে।
৪. জমিতে আগাছা বা ঘাস জন্মানো ৮৫% কমে আসে।
৫. ভূমির ক্ষয় রোধ করে।
৬. ফসলের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করা যায়।
৭. এই সিস্টেমের মাধ্যমে পানি এবং সার একই সাথে দিতে পারবেন।
৮. এটা ব্যবহারের জন্য আপনাকে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নাই,আমাদের দেশের সাধারণ কৃষক ভাইয়েরা এটা সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
১৯.সঠিক পরিমানে পানি পাওয়ার ফলে গাছের পুষ্টি বাড়ে তাই ফলনের মাএ ও বৃদ্ধি পায়।

ড্রিপ-সেচ কিভাবে কাজ করে?
মোটরের সাহায্যে পুকুর,ট্যাংকি থেকে পানি নিয়ে তারপর সেই পানি ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে আয়রণ,বালি ও ময়লা ইত্যাদি পরিষ্কার হয়ে মেইন লাইন দিয়ে ১৬ এম এম শাখা লাইনের মাধ্যমে ল্যাটারাল দিয়ে পানি বাহির হয়। ল্যাটারাল পাইপের গায়ে গাছের দূরত্ব অনুযায়ী ড্রিপার বা ফলের ক্ষেত্রে মাইক্রোটিউব দিয়ে ড্রিপার লাগানো থাকে যা দিয়ে ফোঁটা-ফোঁটা করে পানি গাছের গোঁড়ায় পৌছায়। যে ফসলের যেটুকু পানির প্রয়োজন সেই পরিমান পানি এই বিন্দু সেচের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব।

ফল, ফুল, সবজি সহ ইত্যাদি চাষে কৃষি গবেষকরা ড্রিপ ইরিগেশন বা বিন্দু সেচের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করছেন। ড্রিপ পদ্ধতিতে পাইপের মাধ্যমে পানি একেবারে গাছের গোড়ায় গিয়ে পড়ে। এর ফলে পানি গড়িয়ে গিয়ে নষ্ট হয় না। ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম বা বিন্দু সেচ পদ্ধতি এমন একটি প্রযুক্তি যার সাহায্যে ছোট বা বড় যে কোন বাগানে পানি ও তরল সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয় ভেনচুরি ইরিগেশন সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে তার জন্য আপনাকে আলাদা একটা পাএে লিকুইড সারা বা ঔষধ তৈরি করে দিতে হবে, পানির উৎস বা পানির ট্যাংকি কিংবা রিজার্ভার থেকে টিউবের মাধ্যমে পানির লাইন নিয়ে সকল গাছের গোড়ায় একটি করে ড্রিপার সেট করা হয়,ফলে খুব সহজেই একই সাথে সকল গাছে প্রয়োজনীয় পানি ও তরল সার দেয়া যায়।

আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ
www.dripirrigation.com.bd

আমাদের অফিস ব্রাঞ্চঃ
ঢাকা অফিসঃ
মোবাইল: ০১৯১৯-৭৫১৮৪৫
ঠিকানা : ৬৪/৪, কল্যানপুর মেইন রোড, ঢাকা-১২১৬

চট্টগ্রাম অফিসঃ
মোবাইল: ০১৯১৯-৭৫১৮৪২
ঠিকানা: ২০২, মেয়র গলি, ষোলশহর, চট্টগ্রাম-৪২০৯

YouTube player

#বিন্দুসেচ_ইরিগেশন
#dripirrigation_com_bd
#সেচ_প্রযুক্তি
#drip_irrigation
#sprinkler_irrigation
#fogger_irrigation

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00