জিও গ্রো ব্যাগ কি?
জিও গ্রো ব্যাগ সিনথেটিক কাপড় বা জিও টেক্সটাইল ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরী করা বিশ্বের প্রথম পরিবেশ বান্ধব গাছের টব। জিও গ্রো ব্যাগ মাটি, সিমেন্ট, টিন বা প্লাস্টিক পটের বিকল্প হিসেবে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এই গ্রো ব্যাগ গুলোর স্থায়িত্বকাল ১০ থেকে ২০ বছর। পরিবেশ বান্ধব জিও গ্রো ব্যাগ এর উপকারিতা হলো ছাদ বাগান থেকে শুরু করে ব্যালকনি, বারান্দা, খোলা মাঠ, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অফিস চত্ত্বর, ফ্যাক্টরী বা যেকোন প্রতিষ্ঠানের সামনে উপযুক্ত পরিবেশে যে কোন সবজি, ফল বা অন্যান্য গাছ রোপন করার জন্য এই ব্যাগ বিশ্বজুড়ে এখন খুবই জনপ্রিয়। এই কাপড়ের তৈরি ব্যাগ মূলত নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবহার করা হয়। আমরা সেই কাপড়ের তৈরি, গাছ রোপণে সাশ্রয়ী টব জিও গ্রো ব্যাগ সরবারহ করছি।
অতীতে ব্যবহৃত টবগুলোর প্রতিবন্ধকতাঃ
বাড়ির ছাদে, ব্যালকনিতে বা মাঠে যারা মাটির টব, প্লাস্টিক টব বা সিমেন্টের টবে গাছ রোপন করেন, তারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুক্ষীন হন, যেমনঃ-
১. মাটির টবের ক্ষেত্রে ভঙ্গুরতা, অতিরিক্ত ওজন, কিছুদিন পর টব ক্ষয়ে ডাস্ট বা গুড়া সৃষ্টি, যা নোনা ওঠার মতো মনে হয় এবং টব নষ্ট হয়ে যায়। বেশিদিন টেকে না। ফল গাছের জন্য খুবই অনুপযোগী।
২. প্লাস্টিক টবের ক্ষেত্রে এয়ারেশন বা বাতাস চলাচল হয় না। ১ থেকে ১.৫ বছর ব্যবহারের পর নষ্ট হয়ে যায় বা ফেটে যায়। মাইক্রো প্লাস্টিক দূষণ হয় যা উদ্ভিদ হয়ে মানব দেহে প্রবেশ করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।
৩. সিমেন্টের টবের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন এর কারনে সহজে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সরানো সম্ভব হয় না। ছাদের উপর ওয়েট লোড অনেক বেড়ে যায় যা ভবন এর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিক এয়ারেশন হয় না এবং সিমেন্টের তৈরি হওয়ায় মাটির pH ও অম্লতা নিয়ে সমস্যা হয়।
এধরনের সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে Drip Irrigation Bd Ltd. বাজারে নিয়ে এলো একুশ শতকের যুগান্তকারী আবিষ্কার অত্যাধুনিক ভার্জিন ম্যাটেরিয়ালে তৈরি বিভিন্ন কালার ও সাইজের গাছ রোপণে সাশ্রয়ী টব জিও গ্রো ব্যাগ।
আমাদের জিও গ্রো ব্যাগের বৈশিষ্ট্যঃ-
১. উন্নত মানের সুতা ব্যবহার করা হয়, বিধায় টেকসই অনেক বেশি।
২. শতভাগ কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ব্যাগের নিশ্চয়তা।
৩. তিনটি কালার (কালো, গ্রে ও অফ-হোয়াইট) ও দশটি সাইজের (ছোট বড় সকল গাছের জন্য) ব্যাগ সরবরাহ।
ড্রিপ ইরিগেশন বাংলাদেশ লিমিটেড এর গাছ রোপণে সাশ্রয়ী টব জিও গ্রো ব্যাগ এর সাইজ ও বৈশিষ্ট্যঃ
গ্যালন | সাইজ (ইঞ্চি) | জিএসএম (গ্রাম/বর্গমিটার) | থিকনেস (মিলিমিটার) | মাটি ধারন ক্ষমতা (কেজি) | মূল্য (টাকা) ব্লাক | মূল্য (টাকা) গ্রে ও অফ–হোয়াইট |
৫ | ১২” x ৯.৫“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ১৮.৯২ | ১০০ | ১০০ |
৮ | ১৪” x ১২“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৩০.২৮ | ১৩০ | ১৩০ |
১০ | ১৬” x ১১.৫“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৩৭.৮৫ | ১৪৫ | ১৫০ |
১৫ | ১৮” x ১৩.৫“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৫৬.৭৮ | ১৭৫ | ১৮০ |
২০ | ২০” x ১৫.৫“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৭৫.০৭ | ২১০ | ২১৫ |
২৩ | ২০.৫” x ১৬“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৮০.০৬ | ২২০ | ২২৫ |
২৫ | ২১” x ১৫.৫“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ৯৪.৬৩ | ২৩০ | ২৩৫ |
৪৫ | ২৭” x ১৮“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ১৭০.৩৪ | ৩০৫ | ৩১৫ |
৬৫ | ৩০” x ১৮“ | ২৫০- ৫০০ | ২.৫-৩.৮ | ২৪৬.০৬ | ৩৫৫ | ৩৬৫ |
এছাড়াও সবজি বেড এর জন্য আমাদের জিও গ্রো ব্যাগ এর বৈশিষ্ট্যঃ
ধরন | সাইজ (ইঞ্চি) | জিএসএম (গ্রাম/বর্গমিটার) | থিকনেস (মিলিমিটার) | কালার | মূল্য (টাকা) |
ছোট | ২৪” x ১২” x ১০“ | ৫০০ | ৩.৮ | গ্রে (ধূসর) | ২৪৫ |
মাঝারী | ৩৬” x ১২” x ১০“ | ৫০০ | ৩.৮ | গ্রে (ধূসর) | ২৯৫ |
জিও গ্রো ব্যাগ ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ-
১. অনেক হালকা ওজন হওয়ায় বহন করা খুবই সহজ।
২. ব্যাগের সাথে হাতল থাকার কারণে গাছ লাগানোর পরেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে স্থানান্তর করা যায়।
৩. অত্যাধুনিক ভার্জিন উপাদানে তৈরি।
৪. পরিবেশ বন্ধব, কোন ধরনের মাইক্রো প্লাস্টিক দূষণ এর সুযোগ নেই।
৫. এয়ারেশন অত্যান্ত ভালো ভাবে হয়, ফলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, মাটিস্থ অনুজীবীয় কার্যক্রম বাড়ে, ফলে গাছের জন্য পুষ্টি উপাদান সমূহ আরও গ্রহণ উপযোগী হয়।
৬. ব্যাগের সাইজ ভেদে ছোট বড় সকল গাছই এই ব্যাগে লাগানো যায়।
৭. গাছের শিকড়গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে যার ফলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ভালো হয় এবং ফলন অনেক বেশি হয়।
৮. একবার পানি দিলে বেশি সময় মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।
৯. স্বল্প খরচে একটি ব্যাগ অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।
১০. হালকা ওজন হওয়ার কারনে ছাদের উপর অতিরিক্ত ওয়েট লোড হয় না।
১১. প্রচন্ড রকমের রোদ অথবা বৃষ্টিতে কোন প্রকারের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই, কারণ উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে জিও ব্যাগ প্রচন্ড রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূল অবস্থায়ও সুন্দরভাবে ব্যালেন্স করে নেয়।
১২. জিও ব্যাগে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং অতিরিক্ত পানিটাও ব্যালেন্স হয়ে বের হয়ে যায়, যার কারণে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয় এবং মশা জন্মানোর কোন ভয় থাকে না।
১৩. পানিতে নষ্ট হয় না এবং আধুনিক পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার ফলে বৃক্ষকে পানি জমাট সমস্যা হতে রক্ষা করে।
১৪. পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৫. ফ্লোরে দাগ পড়ে না এবং এই ব্যাগ কোন ভাবেই পঁচনশীল নয়।
১৬. সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটার ফ্লেক্সিবিলিটি অনেক এবং মাটিটাকে ভালো রাখে।
১৭. সব ঋতুতে তাপমাত্রার ভারসাম্যতা রক্ষা করে, ফলে গ্রীষ্মকালে গাছকে শীতল রাখে এবং শীতকালে উষ্ণ রাখে।
১৮. তাপমাত্রার চরম উঠা–নামার ফলে কখনো ক্র্যাক করেনা বা নষ্ট হয়না।
১৯. বৃক্ষের গুনগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে বড় আকারের বৃক্ষায়নে সাহায্য করে।
২০. অফ হোয়াাইট ও গ্রে কালার ব্যাগে কখনোই পরজীবি টাইপের উদ্ভিদ, শেওলা বা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয় না, বরং প্রতিরোধ করে।
কালো কালারের ব্যাগের সাথে অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের পার্থক্যঃ-
★ কালো ব্যাগ এর স্থায়িত্বকাল ৩ থেকে ৮ বছর এবং অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের ব্যাগের স্থায়িত্ব ১০ থেকে ২০ বছর।
★ কালো কালারের ব্যাগ এর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি হয়, যার ফলে গাছের বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি হতে পারে এবং অফ হোয়াইট ও গ্রে কালার ব্যাগে তাপ শোষণ ক্ষমতা কম হয়, যার ফলে গাছের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।
★ কালো কালারের ফেব্রিকের পুরত্ব ২.৫ মিলিমিটার হওয়ার কারণে গাছের শেকড় বাহির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে ছাদেরও একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের ফেব্রিকের পূরুত্ব ৩.৮ মিলিমিটার হওয়ার কারণে গাছের শিকড় বাহির হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা, ছাদেরও কোনো ক্ষতি হয় না।
তাই আপনার শখের কৃষি, ছাদবাগান বা যেকোন কৃষি উদ্যোগে আধুনিকতার ছোয়া যুক্ত করতে গতানুগতিক মাটি, সিমেন্ট, টিন বা প্লাস্টিক পটের বিকল্প হিসেবে ড্রিপ ইরিগেশন বাংলাদেশ লিমিটেড এর গাছ রোপণে সাশ্রয়ী টব জিও গ্রো ব্যাগ ব্যবহার করুন।
ড্রিপ ইরিগেশন বাংলাদেশ লিমিটেড এর অফিস অথবা ব্রাঞ্চ এর ঠিকানাঃ
ঢাকা অফিসঃ | চট্টগ্রাম অফিসঃ |
মোবাইল: ০১৯১৯৭৫১৮৪৫ ইমেইল: info@dripirrigation.com.bd ঠিকানা : ৬৪/৪, কল্যানপুর মেইন রোড, ঢাকা-১২১৬ | মোবাইল: ০১৯১৯৭৫১৮৪২ ইমেইল: ctg@dripirrigation.com.bd ঠিকানা: ২০২, মেয়র গলি, ষোলশহর, চট্টগ্রাম-৪২০৯ |