কল্পনা করুন এমন একটি পৃথিবী, যেখানে প্রতিটি পানির ফোঁটা অমূল্য—বিশেষ করে সেই কৃষকদের জন্য, যাঁরা আমাদের খাদ্যের জোগান দেন। বাংলাদেশে, যেখানে পানি সংকট ও সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, সেখানে টেকসই কৃষি নিশ্চিত করতে নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজন।
ড্রিপ ইরিগেশন বিডি লিমিটেড (ডিবিআইএল) এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সদ্য ধারণ করা প্রকল্পের দৃশ্যপট দেখায় কিভাবে আমাদের বিশেষভাবে তৈরি ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা মাঠপর্যায়ে প্রকৃত পরিবর্তন আনছে এবং কৃষকদের একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
প্রকল্পের বিবরণ:
এই প্রকল্পে ডিবিআইএল টিমের সদস্যরা বাংলাদেশের একটি মাঠে ড্রিপ সেচ ব্যবস্থার প্রাথমিক স্থাপন প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন। যদিও এই পর্যায়ে নির্দিষ্ট ফসলটি স্পষ্ট নয়, তবে নবীন চারার উপস্থিতি এবং ড্রিপ লাইনের সুনির্দিষ্ট বিন্যাস ইঙ্গিত দেয় যে এটি সুচিন্তিত পানি সরবরাহের মাধ্যমে গাছের যত্নে মনোনিবেশ করছে।
এই সিস্টেমে পাইপ ও ‘ড্রিপার’ নামক ছোট ছোট নোজলের মাধ্যমে সরাসরি গাছের শিকড়ের কাছে পানি সরবরাহ করা হয়। ড্রিপ সেচের অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর সহজ স্থাপন ব্যবস্থা। অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক নিজেরাই মেইন লাইনের সংযোগ দিতে পারেন, এবং প্রয়োজন হলে স্থানীয় একজন মিস্ত্রি বা টেকনিশিয়ান দিয়ে জটিল অংশগুলো স্থাপন করিয়ে নিতে পারেন।
তবে চিন্তার কিছু নেই—ডিবিআইএলের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা সবসময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত, যাতে কোনো সমস্যা হলে সেটি সহজেই সমাধান করা যায়।
কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য মূল সুবিধাসমূহ:
১. পানি সাশ্রয়:
পরম্পরাগত সেচ ব্যবস্থায় পানির অপচয় হয় বাষ্পীভবন ও অতিরিক্ত প্রবাহের মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় ৪০-৬০% পর্যন্ত পানি সাশ্রয় সম্ভব।
যশোরের কৃষক মি. রহমান জানান, “ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় আসার পর থেকে আমার পানির বিল অনেক কমেছে, আর আগের মতো টিউবওয়েল শুকিয়ে যাচ্ছে না।”
২. ফলন বৃদ্ধি:
শিকড়ে সরাসরি পানি পৌঁছানোয় গাছ পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পায় এবং সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। ফলে ফলন ২০-৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়—বিশেষ করে সবজি, ফল (যেমন আম), এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসলে।
৩. খরচ হ্রাস:
কম পানি ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ ও পানির বিল কমে। আবার ড্রিপ লাইনের মাধ্যমে সারও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়, ফলে অপচয় কম হয়।
৪. অটোমেশন ও স্মার্ট প্রযুক্তি:
আমাদের উন্নত ড্রিপ সেচ সিস্টেমে টাইমার ও IoT-ভিত্তিক সেন্সর সংযুক্ত করা যায়। এর মাধ্যমে সেচের সময়সূচি নির্ধারণ ও মাটির আর্দ্রতা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি সরবরাহ সম্ভব।
৫. দীর্ঘমেয়াদি টেকসই কৃষি:
ড্রিপ সেচ পানির অপচয় কমায়, মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং মাটির গুণমান বজায় রাখে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদে কৃষিকে টেকসই করে তোলে।
৬. আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
ড্রিপ সেচে শুধুমাত্র গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হয়, ফলে গাছের মধ্যবর্তী স্থানে আগাছা গজায় না। এতে সময় ও খরচ দুই-ই সাশ্রয় হয়।
একজন কৃষক জানান, “আগে ঘন্টার পর ঘণ্টা আগাছা তুলতে হতো। এখন আগাছার সমস্যাই নেই বললেই চলে!”
৭. সময় ও শ্রম সাশ্রয়:
স্বয়ংক্রিয় পানিসংযোগ ব্যবস্থা কৃষকদের হাতে সময় বাড়িয়ে দেয় এবং শ্রম খরচও কমায়, ফলে তারা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।
৮. প্রাথমিক বিনিয়োগ বনাম দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়:
প্রথমে একটু খরচ বেশি মনে হলেও, পানি ও সারের সাশ্রয়, ফলন বৃদ্ধি, এবং শ্রম ব্যয় কমে যাওয়ায় এটি খুবই লাভজনক প্রমাণ হয়।
বগুড়ার মিসেস খাতুন বলেন, “প্রথমে ভাবছিলাম খরচটা বেশি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দুই মৌসুমেই অনেকটা টাকা বাঁচিয়ে ফেলেছি। আগেই করলে ভালো হতো!”
বাস্তবিক প্রভাব ও সাফল্যের গল্প:
আমরা নিজের চোখে দেখেছি ড্রিপ সেচ কিভাবে বাংলাদেশের কৃষকদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।
যদিও এই প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিবিআইএলের অন্যান্য প্রকল্পে আমরা দারুণ ফলাফল পেয়েছি।
উদাহরণস্বরূপ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি আম বাগানে আমাদের সিস্টেম ব্যবহার করে একজন কৃষক ফলনে ৩০% বৃদ্ধি ও পানির ব্যবহারে ৪০% হ্রাস পেয়েছেন।
আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি, যাতে কৃষকেরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো ভর্তুকি বা প্রণোদনার বিষয়ে জানেন ও উপকৃত হতে পারেন।
অনুপ্রেরণা ও ব্যবসায়িক সুযোগ:
এই ধরনের সফল প্রকল্প অন্য কৃষক ও উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করে আধুনিক সেচ পদ্ধতি গ্রহণে। আমরা পরামর্শ দেই, প্রথমেই মাটি ও পানির বিশ্লেষণ করিয়ে উপযুক্ত সিস্টেম বাছাই করতে।
বাংলাদেশের কৃষি খাতে ড্রিপ সেচ সরবরাহ, ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবসায়িক সুযোগ অনেক। নতুন অ্যাগ্রিবিজনেস উদ্যোক্তাদের আমরা ডিবিআইএলের সঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানাই।
অবস্থান:
স্থান: বাংলাদেশ (নির্দিষ্ট জেলা ও ফার্মের তথ্য গোপনীয়তার কারণে অনুরোধে প্রদানযোগ্য)
যোগাযোগ করুন:
আপনার ফার্মে খরচ সাশ্রয়ী ও পানি-দক্ষ সেচ ব্যবস্থা চালু করতে চান?
আজই যোগাযোগ করুন এবং জানুন কীভাবে ডিবিআইএল আপনার কৃষিকে আরও লাভজনক ও টেকসই করতে পারে।
ওয়েবসাইট: www.dripirrigation.com.bd
ফোন: 01324-445400
প্রধান কার্যালয়: ২সি/৮১, পরিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, উত্তর আদাবর, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
প্রতিনিধি: সাদমান সারার, পাবলিক রিলেশনস অফিসার
শাখা অফিসসমূহ:
ঢাকা: 01324-445411 | তানভিরুল ইসলাম
চট্টগ্রাম: 01324-445395 | মোবিনুল ইসলাম
বগুড়া: 01324-445385 | মোঃ সামছুজ্জামান সুমন
যশোর: 01324-445390 | মোঃ মাসুদ রানা
সিলেট: +৮৮০ ১৯১৯-৭৫১৮৪৫ | আসাদুল ইসলাম শাহরিয়া