আপনার ফসল কি পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে? কল্পনা করুন এমন একটি সেচ পদ্ধতির, যা শুধু পানি সাশ্রয়ই করে না বরং ফলনও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায়। রাঙামাটির পাহাড়ি অঞ্চলের হৃদয়ে, Drip Irrigation BD Ltd. (DIBL) সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী ড্রিপ সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফিল্ড-২-এ, যা রাইখালী, কাপ্তাই-এ অবস্থিত পার্বত্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পটি কৃষকদের পানির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা পাহাড়ি পরিবেশে টেকসই কৃষিকাজ নিশ্চিত করছে।

প্রকল্পের বিবরণ
DIBL-এর দক্ষ টিম অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা রিসার্চ ফিল্ডে স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পটি পাহাড়ি এলাকায় পানির সংকটের সমস্যার সমাধান এনে দিয়েছে, যেখানে প্রচলিত সেচ পদ্ধতিগুলো অকার্যকর এবং পানির অনেক অপচয় করে।
এই সিস্টেমে উন্নত ড্রিপার নোজল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সরাসরি গাছের শিকড়ে পানি সরবরাহ করে, ফলে বাষ্পীভবন ও পানি প্রবাহে অপচয় অনেক কমে যায়। এই সিস্টেম ব্যবহারকারী বান্ধব, যার ফলে কৃষকরা নিজেরাই এটি ইনস্টল করতে পারেন বা স্থানীয় টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিতে পারেন। DIBL-এর ইঞ্জিনিয়াররা সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছেন যাতে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটি সহজ ও ঝামেলামুক্ত হয়।
কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য মূল উপকারিতা
- পানি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা: গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় পানি ব্যবহার ৬০% পর্যন্ত কমানো যায় প্রচলিত সেচ পদ্ধতির তুলনায়। রাঙামাটির মতো পানির সংকটপূর্ণ অঞ্চলের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি: কফি, কাজু ও পাহাড়ি ফলমূলের মতো ফসলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে কার্যকর। কৃষকরা ফসলের স্বাস্থ্য ও উৎপাদনে চোখে পড়ার মতো উন্নতি লক্ষ করছেন।
- খরচ সাশ্রয়: কম পানি ব্যবহারের ফলে এবং ম্যানুয়াল লেবারের প্রয়োজনীয়তা কমে যাওয়ায় অপারেশনাল খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। আগাছা কম হওয়ায় হরবিসাইড এবং আগাছা পরিষ্কারের খরচও কমে।
- স্বয়ংক্রিয় ও স্মার্ট ফিচার: সিস্টেমে টাইমার রয়েছে এবং IoT ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, যাতে কৃষকরা দূর থেকেই সেচের সময়সূচি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
- দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতা: পাহাড়ি অঞ্চলে সাধারণত মাটির ক্ষয় একটি বড় সমস্যা। ড্রিপ সেচ এই সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং পরিবেশবান্ধব কৃষিকে উৎসাহিত করে।
- সময় ও শ্রম সাশ্রয়: স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ফলে কৃষকদের সময় ও শ্রম বাঁচে, যা তারা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করতে পারেন।
- প্রাথমিক বিনিয়োগ বনাম দীর্ঘমেয়াদি লাভ: যদিও শুরুতে কিছুটা খরচ বেশি মনে হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে পানি, শ্রম এবং ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে অনেক বেশি সাশ্রয় হয়।
একজন কৃষক, মোঃ রহমান বলেন, “শুরুতে খরচ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম, কিন্তু ফলন দ্বিগুণ হওয়া এবং পানির বিল অর্ধেক হওয়ায় বুঝলাম এটি ছিল আমার সেরা সিদ্ধান্ত।”
বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের গল্প
মোঃ করিম, এক স্থানীয় কফি চাষী, বলেন,
“ডিআইবিএলের ড্রিপ সেচ পদ্ধতি চালু করার পর থেকে আমার কফি গাছগুলো অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান হয়েছে, আর মাত্র ছয় মাসেই ফলন ৪০% বেড়েছে। ডিআইবিএলের টিমের সহযোগিতা ছিল অসাধারণ।”
অনুপ্রেরণা ও ব্যবসার সম্ভাবনা
যারা এই সফলতার পুনরাবৃত্তি করতে চান, তারা DIBL-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষ করে টেকসই সেচ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী অ্যাগ্রো-স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তাদের জন্য এই খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থান
📍 অবস্থান: রিসার্চ ফিল্ড নং ২, পার্বত্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রাইখালী, কাপ্তাই, রাঙামাটি।
যোগাযোগ করুন
একটি কার্যকর ও সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চান? আজই যোগাযোগ করুন!
📧 ইমেইল: info@dripirrigationbd.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.dripirrigation.com.bd
🏢 প্রধান অফিস: ২সি/৮১, পরিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, উত্তর আদাবর, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
📞 ফোন: ০১৩২৪-৪৪৫৪০০
📧 ইমেইল: dibldhaka400@gmail.com
👤 প্রতিনিধি: সাদমান সারার (জনসংযোগ কর্মকর্তা)
শাখা অফিসসমূহ
- ঢাকা: ০১৩২৪-৪৪৫৪১১ | dibldhaka411@gmail.com
- চট্টগ্রাম: ০১৩২৪-৪৪৫৩৯৫ | diblctg399@gmail.com
- বগুড়া: ০১৩২৪-৪৪৫৩৮৫ | diblbogura385@gmail.com
- যশোর: ০১৩২৪-৪৪৫৩৯০ | dibljashore390@gmail.com
- সিলেট: +৮৮০ ১৯১৯-৭৫১৮৪৫