সবুজে ঘেরা ক্ষেত আর তাতে ঝুলে থাকা লালচে-বেগুনি রঙের ড্রাগন ফল—এই চিত্র এখন আর কল্পনা নয়, বরং আধুনিক সেচ প্রযুক্তির বাস্তব প্রতিফলন। কী হতো যদি এমন একটি সেচ পদ্ধতি থাকত, যা পানির অপচয় না করে প্রতিটি গাছের গোড়ায় সুনির্দিষ্টভাবে পানি সরবরাহ করত? এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে ড্রিপ ইরিগেশন বিডি লিমিটেড (ডিআইবিএল), যারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ফল চাষে খ্যাত একটি অঞ্চলের চাষিদের সাথে একত্রে কাজ করছে। ড্রিপ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ড্রাগন ফল উৎপাদনে উচ্চ ফলন ও টেকসই পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রকল্পের বিবরণ:
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি ছোট কৃষি খামারে ড্রাগন ফলের জন্য উপযোগী বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত ড্রিপ সেচ পদ্ধতির স্থাপন। ডিআইবিএলের টিম খামারের মালিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যাতে করে পানির স্বল্পতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ড্রাগন ফল গাছের জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিশ্চিত করা যায়।
প্রযুক্তিগত বিবরণ:
প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু চিত্রে দেখা যায়, কীভাবে ডিআইবিএলের কর্মীরা মেইন সেচ লাইন ও ড্রাগন ফল গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট স্ট্রাকচার স্থাপন করছেন। একটি নির্দিষ্ট পাইপলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিটি গাছের গোড়ায় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। একটি ছবিতে দেখা যায় একটি ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, যা হতে পারে সম্ভাব্য জলস্রোত। এই সিস্টেমটি সহজে স্থাপনযোগ্য, এবং কৃষকেরা নিজেরাই অধিকাংশ অংশ স্থাপন করতে পারেন। ডিআইবিএলের ইঞ্জিনিয়াররা প্রয়োজনে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদান করে থাকেন।
কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য মূল উপকারিতা:
- পানি সাশ্রয়:
ড্রাগন ফল গাছ শুষ্কতাপূর্ণ অবস্থায় টিকে থাকতে সক্ষম হলেও ফলের গুণগত মান ও ফলন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচলিত বন্যা সেচ পদ্ধতিতে প্রায় ৪০-৬০% পানি অপচয় হয়। ড্রিপ সেচ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই অপচয় কমিয়ে ফল গাছের গোড়ায় সুনির্দিষ্টভাবে পানি পৌঁছানো যায়। - ফলন বৃদ্ধি:
নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে পানি পাওয়ায় গাছের ফুল ফোটা, ফল আসা এবং ফলের আকার ও মান অনেক ভালো হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রিপ সেচ ব্যবহারে ফলনের হার ২০-৪০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। - খরচ হ্রাস:
পানির অপচয় কম হওয়ায় খরচও কমে যায়। একইসাথে, সার যদি এই সিস্টেমের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় (ফার্টিগেশন), তাহলে সারের অপচয়ও হ্রাস পায় এবং খরচ কমে। - স্বয়ংক্রিয় ও স্মার্ট বৈশিষ্ট্য:
প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল হলেও, ভবিষ্যতে এতে টাইমার বা সেন্সর সংযুক্ত করে স্বয়ংক্রিয় সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব, যা কৃষকের সময় ও শ্রম বাঁচায়। - দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব:
অতিরিক্ত পানিতে ভূমিক্ষয় বা সার অপচয়ের সমস্যা থাকে না। ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে এবং জলসম্পদ সংরক্ষিত হয়। - আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
শুধুমাত্র গাছের গোড়ায় পানি যাওয়ায় চারপাশে আগাছা কম জন্মায়। এতে আগাছা পরিষ্কারের শ্রম ও রাসায়নিক প্রয়োগের প্রয়োজন কমে যায়। - সময় ও শ্রম সাশ্রয়:
ড্রিপ সেচ ব্যবস্থায় ম্যানুয়াল সেচের তুলনায় অনেক কম সময় ও শ্রম লাগে, ফলে কৃষক অন্য কৃষিকাজে সময় দিতে পারেন। - প্রাথমিক বিনিয়োগ বনাম দীর্ঘমেয়াদী লাভ:
প্রকল্পের শুরুতে কিছুটা ব্যয়বহুল মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন বৃদ্ধি, পানি ও সার খরচ কমে যাওয়া এবং শ্রম হ্রাসের ফলে কৃষকের জন্য এটি লাভজনক হয়ে ওঠে।
বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের গল্প:
ডিআইবিএল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফলচাষের জন্য সফলভাবে ড্রিপ সেচ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করেছে। নরসিংদী জেলার এক ড্রাগন ফল চাষি জানান, ডিআইবিএলের সিস্টেম ব্যবহারের পর ফলের আকার বড় হয়েছে এবং প্রায় ৫০% পানি সাশ্রয় হয়েছে। এমন বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
অনুপ্রেরণা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চলমান এই প্রকল্প দেশের অন্যান্য ড্রাগন ফল চাষিদের জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি নতুন কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তারাও ড্রিপ সেচ সরঞ্জাম সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করতে পারেন।
ভৌগলিক অবস্থান:
অবস্থান: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে একটি ড্রাগন ফল খামার।
যোগাযোগ করুন:
আপনি কি আপনার ড্রাগন ফল খামারে ফলন বাড়াতে ও পানির ব্যবহার কমাতে চান? আজই যোগাযোগ করুন ড্রিপ ইরিগেশন বিডি লিমিটেড-এর সাথে।
📧 ইমেইল: info@dripirrigationbd.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.dripirrigation.com.bd
প্রধান কার্যালয়:
২সি/৮১, পারিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, উত্তর আদাবর, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
📞 ফোন: ০১৩২৪-৪৪৫৪০০ | ইমেইল: dibldhaka400@gmail.com
প্রতিনিধি: সাদমান সারার, পাবলিক রিলেশন অফিসার
শাখাসমূহ:
- ঢাকা: ০১৩২৪-৪৪৫৪১১ | ইমেইল: dibldhaka411@gmail.com | প্রতিনিধি: তানবিরুল ইসলাম
- চট্টগ্রাম: ০১৩২৪-৪৪৫৩৯৫ | ইমেইল: diblctg399@gmail.com | প্রতিনিধি: মোবিনুল ইসলাম
- বগুড়া: ০১৩২৪-৪৪৫৩৮৫ | ইমেইল: diblbogura385@gmail.com | প্রতিনিধি: মো. সামসুজ্জামান সুমন
- যশোর: ০১৩২৪-৪৪৫৩৯০ | ইমেইল: dibljashore390@gmail.com | প্রতিনিধি: মো. মাসুদ রানা
- সিলেট: +৮৮০১৯১৯-৭৫১৮৪৫ | প্রতিনিধি: আসাদুল ইসলাম শাহরিয়া