ভূমিকা:
প্রায়াস NGO-এর খামারে অনলাইন ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপনের মূল ভূমিকা হলো:
- জল সাশ্রয়: সঠিক পরিমাণে পানি সরবরাহ করে অপচয় রোধ।
- শ্রম খরচ কমানো: দূর থেকে সেচ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ।
- ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি: মাটির আর্দ্রতা বজায় রেখে ফসলের উন্নয়ন।
- স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ: মাটি ও আবহাওয়ার ভিত্তিতে সেচ নিয়ন্ত্রণ।
- পরিবেশবান্ধব: পানি ও শক্তির দক্ষ ব্যবহার।
- আর্থিক সাশ্রয়: দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমানো।
এটি কৃষি ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও টেকসই করতে সহায়তা করবে।
ঠিকানা:
প্রায়াস NGO রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জের আমরতলা গ্রামে তাদের নিজস্ব খামারে ড্রাগন ফলের বাগানে অত্যাধুনিক অনলাইন ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন করেছে। এই সেচ ব্যবস্থা জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং কৃষি উৎপাদনকে আরও দক্ষ ও সাশ্রয়ী করে তোলে। এটি শুধু প্রায়াসের জন্যই নয়, বরং স্থানীয় কৃষকদের জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টেকসই কৃষির জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও পানির সঠিক ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এই পদক্ষেপ বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
যোগাযোগ:
ছয় মাস আগে, প্রায়াস NGO ফেসবুকে ড্রিপ ইরিগেশন বিডি-এর একটি ভিডিও এবং আমাদের কাজের বিবরণ দেখে অনুপ্রাণিত হয়। আধুনিক সেচ পদ্ধতির কার্যকারিতা বুঝতে পেরে তারা ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম সেটআপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ড্রিপ ইরিগেশন বিডি-এর সহায়তায় বাজেট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে, প্রায়াস NGO সফলভাবে তাদের রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জের আমরতলা গ্রামে অবস্থিত ড্রাগন ফলের বাগানে এই সেচ ব্যবস্থা স্থাপন করে। এটি স্থানীয় কৃষকদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে, যা জল সংরক্ষণ ও উন্নত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।
প্রোজেক্ট বিবরন:
এই সিস্টেমটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিকভাবে পানি সরবরাহের পাশাপাশি জল সংরক্ষণের কার্যকর সমাধান প্রদান করে। এটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে, যা কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।প্রায়াস NGO রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জের আমরতলা গ্রামে তাদের নিজস্ব খামারে ড্রাগন ফলের বাগানে অত্যাধুনিক অনলাইন ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন করেছে।
সিস্টেমের মূল উপাদানসমূহ:
- ভ্যানচুরি ও ফিল্টার: সেচের পানি পরিচ্ছন্ন এবং কার্যকরভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নতমানের ভ্যানচুরি ও ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি পানিতে থাকা যে কোনো ময়লা ও কণা ফিল্টার করে সেচ ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়ায়।
- মেইনলাইন পাইপ: প্রধান পানি সরবরাহের জন্য ২ ইঞ্চি HDPE পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী। এটি সেচের পুরো সিস্টেমের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
- শাখা লাইন: প্রতিটি গাছের শিকড়ে সঠিক পরিমাণে পানি পৌঁছানোর জন্য ১৬ মিমি পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পানি অপচয় রোধ করে এবং ফসলের চাহিদা পূরণ করে।
- সাবমার্সিবল পাম্প ও ট্যাংক: 2 হর্স পাওয়ারের সাবমার্সিবল পাম্প এবং ট্যাংক ব্যবহার করে সিস্টেমের পানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করা হয়েছে, যা গাছের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করে।
- গাছের সংখ্যা: এই ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমটি 230টি ড্রাগন ফলের গাছের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পায় এবং এর ফলে তাদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকে।
এই অত্যাধুনিক ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমটি জল সংরক্ষণ এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। সঠিকভাবে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করে এটি কৃষকদের জন্য টেকসই কৃষি পদ্ধতির উদাহরণ হিসেবে থাকবে।
প্রকল্পের মূল সুবিধা:
জল সংরক্ষণ: ড্রিপ ইরিগেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিকভাবে পানি সরবরাহ করা হয়।উৎপাদন বৃদ্ধি: নিয়মিত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে ফসলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।পরিবেশবান্ধব: কম পানি ও শক্তি খরচের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা হয়।স্থানীয় কৃষকদের জন্য উদাহরণ: এই প্রকল্পটি স্থানীয় কৃষকদের আধুনিক সেচ ব্যবস্থার গুরুত্ব বোঝাতে সহায়তা করবে।
উদ্যোক্তা:
প্রায়াস NGO।
প্রযুক্তিগত অংশীদার:
ড্রিপ ইরিগেশন বিডি।
সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
এই সেচ ব্যবস্থা শুধুমাত্র প্রায়াসের খামারে নয়, বরং আশেপাশের কৃষকদেরও টেকসই কৃষি পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহিত করছে। ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফসলের বাগানে এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য:
প্রায়াস NGO-এর খামারে স্থাপিত এই অত্যাধুনিক ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমটি স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে জল সংরক্ষণ ও সঠিক পানির ব্যবহার নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নতমানের ভ্যানচুরি, ফিল্টার, এবং সাবমার্সিবল পাম্পসহ সিস্টেমের প্রতিটি উপাদান অত্যন্ত কার্যকরভাবে কাজ করছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব চাষাবাদের পথপ্রদর্শক হবে।
এ ধরনের প্রকল্প শুধু কৃষির উন্নয়ন নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।