জিও ব্যাগ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। আমরা বাগান করার আগে চিন্তা করি গাছ গুলো লাগাবো কিসে সেই সমস্যা সমাধান করতে আপনাদের মাঝে চলে এসেছে জিও ব্যাগ। এটার কিছু বিশেষ সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের সকলের কাছে জনপ্রিয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করেন শখের ছোট-বড় বাগানের জন্য জিও ব্যাগ বিশেষ একটি ভূমিকা পালন করছে। ফল,ফুলের সাথে সাথে এই ব্যাগে আপনারা শাক-সবজি ও লাগাতে পারবেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পরিবেশ বান্ধব জিও ব্যাগ ব্যবহার করুন। জিও ব্যাগের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
জিও ব্যাগের সুবিধা সমূহঃ-
১. অনেক হালকা ওজন হওয়ায় বহন করা খুবই সহজ।
২. ব্যাগের সাথে হাতল থাকার কারণে গাছ লাগানোর পরেও আপনারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে পারবেন খুব সহজে।
৩. অত্যাধুনিক ভার্জিন উপাদানে তৈরি।
৪. পরিবেশ বন্ধব, কোন ধরনের মাইক্রো প্লাস্টিক দূষণ এর সুযোগ নেই।
৫.এয়ারেশন অত্যান্ত ভালো ভাবে হয়,ফলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে,মাটিস্থ অনুজীবীয় কার্যক্রম বাড়ে ফলে গাছের জন্য পুষ্টি উপাদান সমূহ আরও গ্রহণ উপযোগী হয়।
৬. ব্যাগের সাইজ ভেদে আপনারা ছোট বড় সকল গাছই এই ব্যাগে লাগাতে পারবেন।
৭. গাছের শিকড় গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে যার ফলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ভালো হয় এবং ফলন অনেক বেশি হয়।
৮. একবার পানি দিলে বেশি সময় মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে পারে।
৯. স্বল্প খরচে আপনারা একটি ব্যাগ অনেক বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
১০. হালকা ওজন হওয়ার কারনে ছাদের উপর অতিরিক্ত ওয়েট লোড হয় না।
১১. প্রচন্ড রকমের রোদ অথবা বৃষ্টিতে কোন প্রকারের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই,কারণ উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে জিও ব্যাগ প্রচন্ড রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূল অবস্থায়ও সুন্দরভাবে ব্যালেন্স করে নেয়।
১২. জিও ব্যাগে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং অতিরিক্ত পানিটা ও ব্যালেন্স হয়ে বের হয়ে যায়, যার কারণে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয় এবং মশা জন্মানোর কোন ভয় থাকে না।
জিও ব্যাগের অসুবিধাঃ-
১. এটি কাপড়ের জাতীয় ব্যাগ হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বা বেশি পানি পড়লে জিনিসটা অনেক সময় ভিজা থাকতে পারে, সেজন্য সরাসরি ছাদে রাখলে ছাদের ক্ষতি হতে পারে।
সমস্যার সমাধানঃ-
# ব্যাগটি সরাসরি ছাদে ব্যবহার না করে ব্যাগের নিচে প্লাস্টিক জাতীয় কোন জিনিস বা সামান্য কিছু ইটের উপরে ব্যাগটি রাখুন তাহলে সল্প খরচে আপনার ছাদটি ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবে এবং আপনার শখের বাগান টি ও সুন্দরভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ।
আমাদের জিও ব্যাগের বৈশিষ্ট্যঃ-
১. উন্নত মানের সুতা ব্যবহার করা হয়, বিধায় টেকসই অনেক বেশি।
২. শতভাগ কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ব্যাগের নিশ্চয়তা।
আপনারা আমাদের কাছ থেকে বর্তমানে জিও ব্যাগের যে কয়টি গ্যালন নিতে পারবেনঃ-
★ ২০ গ্যালন (Black colour 215 taka) (Off white and Gray colour 220 taka) প্রতি পিচ।
★ ২৫ গ্যালন (Black colour 235 taka) (Off white and Gray colour 240 taka) প্রতি পিচ।
★৪৫ গ্যালন (Black colour 310 taka) (Off white and Gray colour 320 taka) প্রতি পিচ।
★ ৬৫ গ্যালন (Black colour 360 taka) (Off white and Gray colour 370 taka) প্রতি পিচ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- Black Colour (250GSM 2.5mm Thickness) এবং Off White, Gray Colour (500GSM 3.8mm Thickness) সব কয়টি রংরের ব্যাগ আমাদের কাছে পাবেন।
কালো ও অন্যান্য কালারের সাথে অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের মধ্যে পার্থক্যগুলো জেনে নিনঃ-
★ কালো এবং অন্যান্য ব্যাগ এর স্থায়িত্বকাল ৩ থেকে ৮ বছর এবং অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের ব্যাগের স্থায়িত্ব ১০ থেকে ২০ বছর।
★ কালো বা অন্য কালারের ব্যাগ তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি হয় গাছের বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি হতে পারে এবং অফ হোয়াইট ও গ্রে কালার ব্যাগে তাপ শোষণ ক্ষমতা কম হয় গাছের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।
★ কালো বা অন্য কালারের ফেব্রিকের এর পুরুত্ব ২.৫ মিলিমিটার হওয়ার কারণে গাছের শেকড় বাহির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে ছাদের ও একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তুু অফ হোয়াইট ও গ্রে কালারের ফেব্রিকের পূরুত্ব ৩.৮ মিলিমিটার হওয়ার কারণে গাছের শিকড় বাহির হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা তাই ছাদের ও কোনো ক্ষতি হয় না
ড্রিপ ইরিগেশন বিডির থেকে জিও ব্যাগ খুচরা এবং পাইকারি মূল্যে নিতে চাইলে সরাসরি যোগাযোগ করুনঃ-
01919-751845 ( ঢাকা অফিস)
01919-751842 (চট্টগ্রাম অফিস)
জিও ব্যাগ এবং অটোমেটিক ভাবে গাছে পানি দেওয়ার সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ-
www.dripirrigation.com.bd