উদ্ভিদের জন্য প্রচুর আলো, খাদ্য এবং পানির মত বেশ কয়েকটি মূল বিষয় প্রয়োজন। আমরা জানি বেশিরভাগ সবজির প্রায় ৯০ ভাগই পানি। সেজন্য সবজি ফসলের ভালো বৃদ্ধির জন্যে পানি অপরিহার্য। আপনি শাকসবজি, ফুল, ফল বা অন্য কিছুর চাষাবাদ করুন না কেন, আপনাকে অবশ্যই তাদের বিশুদ্ধ পানির নির্ভরযোগ্য ও সুন্দর সরবরাহ নিশ্চিত করতেই হবে। এক্ষেত্রে ড্রিপ ইরিগেশন হল একমাত্র অটোম্যাটিক পানি সেচ দেয়ার আধুনিক প্রযুক্তি।
সবজি চাষঃ
কৃষিতাত্বিকভাবে রবি (শীতকাল) ও খরিপ (গ্রীষ্মকাল)- এ দুধরনের মৌসুম রয়েছে। খরিপের আবার দুটি ভাগ, যথা- খরিপ-১ (আগাম গ্রীষ্ম) এবং খরিপ-২ (বর্ষাকাল)। তবে শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে বাহারি ও রকমারি বৈচিত্র একটু বেশি। শুধুমাত্র শীতকালে উৎপাদিত হয় এমন ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে- টমেটো, শীতলাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, সীম, মূলা, ব্রকলি, বাটিশাক, ওলকপি, শালগম, বেগুন, গোল আলু ইত্যাদিই প্রধান। অপরদিকে শুধুমাত্র গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে উৎপাদিত হয় এমন ফসলের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের কচু, ওলকচু, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাকরোল, পটোল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া ইত্যাদিই প্রধান।
সামনে আসছে শীতকাল কম বেশি আমাদের সকলের কাছেই এটা প্রিয় একটি মৌসুম। এই সময়কে সারি ফসলের মৌসুম ও বলা হয়। কারণ শীতকালীন অধিকাংশ শাক-সবজি সারিবদ্ধ ভাবে চাষাবাদ করা হয়। যেমনঃ ফুলকপি,গাজর,টমেটো,আলু ইত্যাদি।এই সকল সবজির জন্য অধিক পানির প্রয়োজন হয়। সেই জন্য কৃষকেরা জমিতে ভাসিয়ে সেচ দিয়ে থাকে কিন্তু তার ফলে শাক-সবজি গাছে রোগবালাই বৃদ্ধি পায় এবং অধিক মাএায় ঘাস জন্মায়।
সেচ দিতে গিয়ে কৃষকের যে পরিমান তেল বা বিদ্যুৎ বিলে খরচ হয় এবং ঘাস পরিষ্কারের জন্য যে শ্রম আর অর্থে খরচ হয়ে যায় তাতে কৃষকের লাভ অনেক কম হয়ে যায়। এই সকল সমস্যা চিন্তা করে Drip Irrigation BD নিয়ে এসেছে অটোমেটিক ইরিগেশন সিস্টেম। ইরিগেশন সিস্টেমের মধ্যে সারি ফসলের জন্য সব থেকে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ইনলাইন ড্রিপটেপ পদ্ধতি।
এটার মাধ্যেমে প্রতিটা সারিকে খুব অল্প সময়ে পরিমান মতো পানি দিয়ে সেচ প্রদান করা সম্ভব।
যার ফলে সবজির রোগ কম হয়, ঘাসের বৃদ্ধি কম হয়। Drip Irrigation BD এর ইনলাইন ড্রিপটেপ ইরিগেশনের মাধ্যমে কৃষকের সারি ফসলে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।
এটা আপনারা সারিবদ্ধ ফুল বাগানে বা শাক-সবজির বাগানে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
দুই ফুট বাই দুই ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাপসিকাম এর চারা লাগাতে হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে এবং প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার ও গোবর ব্যবহার করতে পারলে এক একর জমি থেকে প্রায় ১০টন /১০০০০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম যদি পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা করে বিক্রি করা হয় তাহলে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া ভারতের কিছু চাষীরা এক বিঘা জমিতে ৫ টন পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারে।
শাকসবজি চাষাবাদ অন্য সাধারণ ফসল আবাদের চেয়ে একটু ভিন্ন। এরজন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন। শাকসবজির চাষাবাদে যেমন শুষ্ক মৌসুমে সেচের চাহিদা থাকে অপরদিকে বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি বের করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতিতে গাছের গোঁড়ায় ফোটা ফোটা করে ধীরে ধীরে পানি দেয়া যায়, তাতে পানি কম প্রয়োজন হয়।
ধীরে ধীরে ফোটায় ফোটায় পানি পড়ার কারণে একবার পানি দিলে সেই পানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে না গিয়ে উত্তম ভাবে গাছের গোঁড়ায় জমা হয়।
শুধুমাত্র গাছের গোঁড়ায় পানি যাওয়ার কারণে গাছের চারিদিকে আগাছা কম হবে। কারণ মুল গাছটিই কেবল পানি পাবে ফলে অন্য গাছ বা আগাছা পানি না পেয়ে বাড়তে পারবে না। গবেষনা থেকে এটা জানা যায় ড্রিপ ইরিগেশন ব্যবস্থায় পানির ব্যবহার ৭৫% পর্যন্ত সাশ্রয় হয়।
Feel fre to call us
+8801919751842
+8801919751845
+8801919751841
WhatsApp avaiable
dripirrigationbd©