ড্রিপ সেচ কি?
একগুচ্ছ বদ্ধ প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে সুষমভাবে আর নির্দিষ্ট পরিমানে গাছের শিকড়ে সরাসরি সেচ পৌঁছে দেওয়াকে ড্রিপ বা বিন্দু সেচ বলে।
কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ সেচ প্রয়োগের জন্য বিন্দু বা ফোঁটা সেচের যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখা যায়।
দক্ষ সেচ প্রয়োগ ও দুর্লভ পানি সম্পদের অধিকতর ব্যবহারের জন্য আমাদের দেশে এমনকি সমগ্র বিশ্বে বিজ্ঞানীরা ফোঁটা সেচ পদ্ধতির উপর জোর দিতে একমত হয়েছেন।
এটা বলা যেতে পারে যেখানে বিন্দু সেচ পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় না এবং দেখা গেছে যে ৬-৯ শতাংশ ও ৩০-৩৫ শতাংশ জলের অপচয় যথাক্রমে ফোয়ারা সেচ ও ভূপৃষ্ঠ জলসেচ পদ্ধতিতে হয়।
ফোঁটা সেচ মাধ্যমে বন্যা সেচ পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম পানি লাগে, ফসলের গুণগত মান ও উৎপাদন বেশি হয়।
ফোঁটা সেচ পদ্ধতিতে প্রয়োগে মোটামুটি ৪০% সবজিতে উৎপাদন বৃদ্ধি দেখা যায় যেমন লাউ, আলু, পিয়াজ, ঝাল ইত্যাদি সবজি তেমনই ৭০% ফলের বাগিচায় ফোঁটা সেচ পদ্ধতি প্রয়োগে উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে ফোঁটা সেচ পদ্ধতিতে যথেষ্ট বিদ্যুৎ বাঁচিয়ে রাখা যায়।
ড্রিপ-সেচ কিভাবে কাজ করে?
পাম্পের সাহায্যে পুকুর, নালা, কুয়ো অথবা গভীর/অগভীর নলকূপ থেকে জল তোলা হয়। এরপর সেই জল ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে বালি, মাটি, লবণ ইত্যাদি পরিষ্কার করে মেন লাইন দিয়ে সাবমেন ও শেষে ল্যাটারাল দিয়ে বাহিত হয়। ল্যাটারাল-এর গায়ে গাছের দূরত্ব অনুযায়ী ড্রিপার বা এমিটার বা ফলের ক্ষেত্রে মাইক্রোটিউব দিয়ে ড্রিপার লাগানো থাকে যা দিয়ে ফোঁটা-ফোঁটা করে জল গাছের গোঁড়ায় পড়ে। যে ফসলের যতটা জল দরকার সেই সময় ও পরিমানেই জল একেবারে root-zone এ পৌঁছায়।